গর্ভাবস্থায় বাচ্চা নিচে নেমে গেলে করণীয় কি জেনে নিন
গর্ভাবস্থায় বাচ্চা নিচে নেমে গেলে করণীয় কি? এই পরিস্থিতিতে কী করা উচিত তা জেনে নিন।
মায়ের শরীরের সঙ্গে যুক্তির সঠিক সম্পর্কের মাধ্যমেই সমস্যার সমাধান সম্ভব। — ড. জেনেট জুলিয়াস, আন্তর্জালিক স্বাস্থ্যে প্রখ্যাপনা অধ্যাপিকা এই কথাটি গর্ভবতীদের জন্য একটি মূল্যবান পরিচয়।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার অবস্থানের পরিবর্তন হলে প্রতিক্রিয়ার সময় আসে। কখনই এটি ভুলভাবে সম্পর্কে নিজেকে রাখবেন না—সঠিক বিধি অনুসরণের মাধ্যমেই স্বাস্থ্যের সুরক্ষা সম্ভব।
সম্প্রতিকরণের মূল বিষয়গুলো
- গর্ভাবস্থায় বাচ্চা নিচে নেমে গেলে চিকিৎসকের সাথে সর্বপ্রথম যোগাযোগ করা অত্যাধুনিক।
- বাচ্চার অবস্থানের পরিবর্তনের সঙ্গে যুক্ত লক্ষণগুলি চিহ্নিত করতে হবে।
- স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে স্থায়ী যোগাযোগ গুরুত্বপূর্ণ।
- চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করলে স্বাস্থ্যের সুরক্ষা বজায় রাখা সহজ হয়।
- স্বাভাবিক পরিবর্তন হলেও অস্বাভাবিক লক্ষণের ক্ষেত্রে অ্যাকশন চাই।
গর্ভাবস্থার সাধারণ ধারণা
গর্ভাবস্থার শুরুতে নারীর শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন সহজেই বোধ করা যায়। গর্ভাবস্থায় বাচ্চার অবস্থান এর পরিবর্তন সাধারণত গর্ভাবস্থার শেষ পর্যায়ে ঘটে। কিন্তু প্রথম সপ্তাহে কিছু স্বাভাবিক লক্ষণ দেখা যায়।
গর্ভাবস্থার শুরুর লক্ষণ
প্রথম পর্যায়ে মেনস্ট্রুয়েশনের বিলম্ব হতে পারে। উদরের দাঁতের দাঁতে বা গর্ভাবস্থায় বাচ্চা নিচে নামার লক্ষণ সহ কিছু সাধারণ লক্ষণ দেখা যায়। মায়ের মধ্যে ক্ষুধা পরিবর্তন হতে পারে। হাত-পা প্রাণ্ডলা বা কম শ্বাসকষ্টও দেখা যেতে পারে।
গর্ভাবস্থার বিভিন্ন পর্যায়
গর্ভাবস্থা তিনটি ট্রিমেস্টারে বিভক্ত।
- প্রথম ট্রিমেস্টার (১-১২য় সপ্তাহ): গর্ভজালের গড়ন ও বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ।
- দ্বিতীয় ট্রিমেস্টার (১৩-২৮তম সপ্তাহ): বাচ্চার বুদ্ধিগত ও শারীরিক বিকাশ শুরু হয়।
- তৃতীয় ট্রিমেস্টার (২৯-৪০তম সপ্তাহ: বাচ্চার অবস্থান পরিবর্তন হয়, ফলে মায়ের শরীরে অস্থিরতা অনুভূত হতে পারে।
প্রতিটি পর্যায়ের মধ্যে ডাক্তারের সাথে সংযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চা নিচে নেমে গেলে করণীয়
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার অবস্থান পরিবর্তন হলে, গর্ভবতীর শরীরে গর্ভাবস্থায় জরুরি লক্ষণ দেখা দেয়। এটি অস্বাভাবিক ব্লেডিং, তীব্র ব্যথা বা গর্ভাঙ্গনের চাপের অনুভূতির মতো।
তাত্ক্ষণিক করণীয়
- শান্ত হয়ে শুয়ে থাকুন এবং শ্বাস নিযংত্রণ করুন।
- মায়ার চাপের লক্ষণ থাকলে তাত্ক্ষণিক প্রতিক্রিয়া গ্রহণ করুন।
- ব্লেডিং বা ব্যাথা হলে স্পাইনাল স্প্লিন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে—চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করুন।
চিকিৎসকের পরামর্শ
চিকিৎসক প্রেগনেন্সিতে বাচ্চার অবস্থান পরিবর্তন নির্ণয় করতে শুটার, অভ্যন্তরীণ স্ক্যান বা অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা করতে পারেন।
লক্ষণ | পদক্ষেপ |
বেশি পিত্তি | শুয়ে থাকুন এবং চিকিৎসকের সাহায্য নেন |
ব্লেডিং | স্বাস্থ্য পরিদর্শনের জন্য তাত্ক্ষণিক যোগাযোগ |
বাচ্চার অবস্থানের পরিবর্তন
গর্ভাবস্থায় বাচ্চা নিচে নেমে গেলে কি করতে হবে সে প্রশ্নের উত্তর আছে। বাচ্চার অবস্থান পরিবর্তন হতে পারে স্বাভাবিকভাবে বা অস্বাভাবিকভাবে। প্রতি সপ্তাহে বাচ্চার অবস্থান পরিবর্তন হওয়া স্বাভাবিক। এটি জন্মের পূর্বে শিরাসংক্রান্ত স্থায়ী অবস্থান নির্ধারণের জন্য ঘটে।
- স্বাভাবিক কারণ: বাচ্চার মাথা মাতার পাঁজরার দিকে ফিরে যাওয়া (cephalic presentation), সাধারণত 34তম সপ্তাহে ঘটে)
- অস্বাভাবিক ক্ষেত্র: যদি বাচ্চা প্রায় পুরোপুরি নেমে যায় বা কোনো ব্যাথা অনুভব করা যায়, তখন চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা প্রয়োজনীয়
গর্ভস্থলে বাচ্চার অবস্থানের পরিবর্তন সম্পর্কে মায়েদের সচেতন থাকতে হবে। যদি বাচ্চা নিচে নেমে গেলে কি করতে হবে বিষয়টি সম্পর্কে সন্দেহ থাকে, তাহলে দক্ষ অর্থপক্ষের সাথে সংশ্লিষ্ট হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
আসন্ন জন্মের পূর্বসূচক চিহ্ন হিসেবে বাচ্চার নিচে নেমে যাওয়া হতে পারে। কিন্তু অস্বাভাবিক দুর্বলতা, রক্তচ্ছেদ বা অস্বস্তির সাথে এটি হলে দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজনীয়।
গর্ভাবস্থায় জরুরি লক্ষণের উপসর্গ
গর্ভাবস্থায় বাচ্চা নিচে নামার কারণ সম্পর্কে চিকিৎসকরা সতর্ক হন। অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখলে তারা অনুসন্ধান করেন। এই সময় প্রেগনেন্সির প্রভাব ও শরীরের প্রতিক্রিয়া গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
ব্যথা ও চাপ অনুভব
- মাথার ব্যাথা, গুরদেশের গুরুতর চাপ বা টন্ডালোলের ক্ষেত্রে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ অবশ্যই করুন।
- মায়ের পায়ের দিকে অতিরিক্ত চাপ হলে এটা প্রেগনেন্সের সমস্যা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
অন্যান্য সংকেত
সম্ভাব্য জরুরি লক্ষণগুলো নিম্নলিখিত টেবিলে সাজানো হলো:
লক্ষণ | প্রতিক্রিয়া |
বিস্তর রক্তাক্ত বা মাংসল বিস্ফোরণ | অমিয়া হাসপাতালে চলে যাওয়া |
বাচ্চার গতির হ্রাস | এক্সামিনেশনের জন্য ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ |
চোখের দেখা কমা বা ঘুমিয়ে পড়া | অতীত্তম পরিকল্পনা চালু করুন |
এই লক্ষণগুলির সাথে যুক্তি রাখলে ব্যক্তি নিজেকে বিশেষ রক্ষণশীলতার সাথে কাজ করতে হবে। গর্ভাবস্থায় বাচ্চা নিচে নামা মানে কি এটা স্পষ্ট করতে চিকিৎসকের সাহায্য লাভ করুন।
প্রেগনেন্সিতে বাচ্চার অবস্থান পরিবর্তনের কারণ
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার অবস্থান পরিবর্তন করে বিভিন্ন কারণ থাকে। শরীরের হরমোন, গর্ভাশয়ের আকৃতি এবং গর্ভধারিণীর কাঠামো এই পরিবর্তনের প্রধান কারণ।
শরীরের হরমোন যেমন রেলাক্সিন গর্ভাশয়কে স্টিফনের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি বাচ্চার স্থান পাল্টা করতে পারে। গর্ভধারিণীর শরীরের কাঠামোও প্রভাবিত হয়—যেমন পেশী বা কলিস্টনের সমস্যা থাকলে বাচ্চার অবস্থান পাল্টানোর সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
- হরমোনের পরিবর্তন
- গর্ভাশয়ের অনুনয়ন (Uterine anomalies)
- মায়াবাহিনীর দুর্বলতা
- মায়ের শরীরের অবস্থা ও গতিবিধি
শরীরের অপ্রত্যাশিত পরিবর্তনের সময় গর্ভাবস্থায় বিশ্রামের প্রয়োজন থাকে। বিশেষজ্ঞদের সাথে যোগাযোগ করুন এবং শরীরের চিহ্ন ধ্যানদীপ্ত থাকুন। প্রেগনেন্সিতে বাচ্চার অবস্থান পরিবর্তন হলেও, স্বাস্থ্যের জন্য বিশ্রামের প্রয়োজন সম্ভব।
গর্ভধারিণীদের শরীরের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় বিশ্রামের প্রয়োজন সম্পর্কে চিকিত্সকের সাথে আলোচনা করুন। শরীরের শান্তিস্থাপন এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তন সহজ করতে হলে স্বাস্থ্যমূলক পরামর্শ গ্রহণ করুন।
গর্ভাবস্থায় বিশ্রামের প্রয়োজন
চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসারে, সম্পূর্ণ বিশ্রাম স্বাভাবিক শরীরের প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে।
শরীরিক ও মানসিক বিশ্রাম
প্রতিদিন ৮-১০ ঘণ্টা ঘুম পান প্রয়োজন। মানসিক চাপ কমাতে ধ্যান বা বই পড়া করে নিন। গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী, প্রতি সপ্তাহে একদিন স্বাতন্ত্র্য রাখুন।
কার্যকর বিশ্রাম কৌশল
- স্থির ঘুমের সময় বজায় রাখুন
- যোগাযাত্রা বা লাইট অ্যারোবিক্স দিনে ৩০ মিনিট
- স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের মাধ্যমে শরীরের শক্তি পুনরুদ্ধার
বিশ্রামের সাথে সঠিক চিকিৎসকের পরামর্শ অনুসরণ করুন। সাধারণত প্রতি সপ্তাহে ১০-১৫ মিনিট প্রকৃতির মধ্যে বেড়াইয়ের ব্যাপারে চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করুন।
বাচ্চা নিচে নেমে গেলে ঝুঁকি ও সাবধানতা
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার অবস্থান পরিবর্তন করলে বাচ্চা নিচে নেমে গেলে ঝুঁকি কতটুকু তা মায়ের স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে। চিকিৎসকের নির্দেশ অনুসারে এটি নির্ধারিত হয়।
সাধারণত, বাচ্চার নেমে আসা একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। কিন্তু সময়ের ব্যবধান ও সাবধানতা অপরিহার্য।
ঝুঁকির মাত্রা
সাধারণ ঝুঁকির ধরণ ও তাদের প্রভাব:
ঝুঁকির ধরণ | সম্ভাব্য প্রভাব |
পূর্বের জন্ম | মায়ের রক্তক্ষরণের সম্ভাবনা |
শিশুর প্রাণান্তিক সমস্যা | অকাল সন্তানের জন্মের ঝুঁকি |
সাবধানতা অবলম্বনের ধরন
- সাপ্তাহিক চেকআপের জন্য চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ
- কঠিন কাজের বন্ধন
- জলবাহুল্য খাদ্য ও পানীয়ের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো বাচ্চা নিচে নেমে গেলে ঝুঁকি কতটুকু তা চিকিৎসকের মাধ্যমেই ঠিক মোচড়ানো যায়।
গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ ও যত্ন
গর্ভাবস্থায় ব্যথা ও চাপ অনুভব হলে চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা অপরিহার্য। নিয়মিত চেকআপ করে গর্ভজন্ম সুরক্ষিত হয়।
নিয়মিত চেকআপের গুরুত্ব
- মাসিক স্ক্যান এবং রক্তচেক করুন।
- মায়ের রক্তচাপ ও সুষমা নির্ধারণের জন্য প্রতিদিনের স্বাস্থ্য রেকর্ডিং করুন।
- যদি গর্ভাবস্থায় ব্যথা ও চাপ অনুভব হয়, চিকিৎসকের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করুন।
প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিকল্পনা
চিকিৎসকের পরামর্শে অনুসারে-
- মায়ের খাদ্য পরিকল্পনা তৈরি করুন।
- যদি প্রয়োজন হয়, দ্রব্যমান বা যন্ত্রপাতির ব্যবহারের নির্দেশনা অনুসরণ করুন।
- কোনো অস্বস্থতা হলে অবিলম্বে হাসপাতালে যাওয়া উচিত।
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সাথে সর্বদা যোগাযোগ রাখুন। এটি গর্ভনারীদের সুস্থতা ও শিশুর সুরক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চা নিচে নামার লক্ষণ
গর্ভের শেষ পর্যায়ে বাচ্চার অবস্থান পরিবর্তন হলে মায়ের শরীরে বিভিন্ন লক্ষণ দেখা যেতে পারে। গর্ভাবস্থায় সাবধানতা অবলম্বন করা এই সময় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
- মায়ের পায়ের ওপর বেশি দাবাদার অনুভূতি
- উপরের বক্ষস্থল একটু লঘুতর লাগা
- কঠিন হাঁটা বা সামান্য গতিবিধির সময় বেশি ক্লান্তি
যখন বাচ্চা নিচে নেমে যায়, মায়ের মাথায় বা কমড়ের দিকে বেশি চাপ লাগতে পারে। এমনকি কিছু মায়ের ক্ষেত্রে প্রায়ই হাঁটা বা বসে থাকার পরিবর্তন হতে পারে।
যদি এই লক্ষণগুলো দেখা যায়, তাহলে চিকিৎসকের সাথে স্পীডিভাবে যোগাযোগ করুন। সাবধানতা অবলম্বন করে সমস্যা আগে থেকেই চিহ্নিত করা যেতে পারে।
গর্ভাবস্থার শৃঙ্খলা ও সঠিক যত্ন
গর্ভধারণের সময় সঠিক যত্ন অতি গুরুত্বপূর্ণ। খাদ্য, দৈনিক শরীরচালনা এবং প্রয়োজনীয় ঘুমের আয়তন বিশেষভাবে লক্ষ্য করা উচিত।
- উচ্চমানের পুরুলিখিত খাদ্যপদার্থ (মিল, ডাল, সবজি) প্রতিদিন সহজে সেবন করুন।
- জলবাহুল্য পোষণ: প্রতিদিন 8-10 কাপ পানীয় গ্রহণ করুন।
- ক্যালসিয়াম ও আইরনের সোয়ার্ট রাখুন: দুধ, সরসোডা, লুচি ইত্যাদির সেবন করুন।
ব্যায়ামের ধরন | সময় | লাভ |
প্রিনেটেন্ট যোগায়ত | প্রতিদিন 15-20 মিনিট | জন্মসময়ে সহায়তা ও শরীরের দৃঢ়তা |
ক্যালমেটিং চেয়ার এক্সারসাইজ | দুইবার/সপ্তাহ | মায়াকোন্ডিশন বজায় রাখে |
পর্যাপ্ত ঘুমের জন্য:
প্রতিদিন 7-8 ঘণ্টা ঘুম নেয়ে শরীরের ফিটনেস বজায় রাখুন।শয্যায় বাম বাহু সমর্থক পদ্ধতিতে শুয়ে থাকুন।
এই সুবিধাজনক সময়সূচী অনুসরণ করলে গর্ভধারণের সময় স্বাস্থ্যের সহায়তা পাওয়া যাবে।
গর্ভাবস্থায় দুশ্চিন্তার কারণ ও সমাধান
গর্ভধারণের সময় মানুষ মানসিক চাপ ও দুশ্চিন্তায় পড়ে। এই সময় মায়ের মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিছু কৌশল দেওয়া হলো:
মানসিক চাপ হ্রাস
- দৈনিক মনোরক্ষণ: ১০-১৫ মিনিট মেডিটেশন বা শ্যান্সাইজিং করুন।
- সময় ব্যয়: বই পড়া, সুরের আলোচনা বা ক্রেয়াসহ কাজ করুন।
- পরামর্শ নেওয়া: মানসিক চিকিৎসকের সাথে কথা বলুন যদি চাপ বৃদ্ধি পায়।
পারিবারিক সমর্থন
পরিবারের ভূমিকা এই সময়ে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ:
- স্বামী/স্ত্রীকে বুঝানো যে তিনি কতটা সহায়তা করতে পারেন।
- সম্পর্কের আলাপে সময় ব্যয় করুন পরিবারের সাথে।
- পরিবারের সহযোগিতা দ্বারা দুশ্চিন্তা কমে যায়।
মানসিক চাপ কমানোর উপায় | পরিবারের সহায়তার উপায় |
দৈনিক মেডিটেশন | সম্মতি দেওয়া এবং বুঝতে প্রয়াস করা |
কাজের সাথে বিশ্রামের সঠিক বিন্যাস | পরিবারের সাথে সমস্যা শেয়ার করা |
প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ | অর্থাত্মক ও মানসিক সহায়তা প্রদান |
মায়ের মানসিক স্বাস্থ্য ও পরিবারের সমর্থনের মিশ্রণই সমস্যার সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ।
প্রয়োজনীয় তথ্য ও সহায়তা সন্ধানের উপায়
গর্ভাবস্থায় সঠিক তথ্য জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিছু পরিকল্পনা দেওয়া হলো যা সহায়তা দেয়:
অনলাইন ও অফলাইন উৎস
- অনলাইনে সরকারি স্বাস্থ্য ওয়েবসাইট বা মোবাইল অ্যা�প (যেমন: মাতৃস্বাস্থ্য মিশন বা স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট)
- অফলাইনে স্বাস্থ্যকর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ এবং স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী কেন্দ্রের ব্যবহার
স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান
বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গর্ভবতীদের জন্য সহায়তা করে:
- স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের কার্যালয় (যেমন: বাংলাদেশ স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তর)
- নন-প্রফুল্লক সংগঠন (যেমন: ব্রিক্স গ্রামীণ ক্লিনিক বা স্বাস্থ্য একাডেমী)
সম্পূর্ণ তথ্য সংগ্রহের জন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
সমাপ্তি
গর্ভাবস্থায় মায়ের স্বাস্থ্য ও শিশুর সুরক্ষার জন্য সচেতনতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাচ্চার অবস্থান পরিবর্তন হলে তাত্ক্ষণিক চিকিৎসকের সাথে যোগাযোগ করা অবশ্যই করতে হবে।
স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানগুলির সূচনা এবং নিয়মিত পরীক্ষা করা গুরুত্বপূর্ণ। মায়ের মানসিক ও শরীরিক স্বাস্থ্যের উপর গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।
সময়মতো খাদ্য ব্যবস্থা এবং প্রয়োজনীয় ব্যায়াম করুন। শুষ্কপ্লাবিত ঘুমের ব্যবস্থা করুন।
শেষ পর্যন্ত, গর্ভাবস্থায় স্বয়ংক্রিয়তা ও চিকিৎসকের নির্দেশ মেনে চলা প্রয়োজন। কোনো অস্বাভাবিকতার সামনে দ্রুত সাহায্য নেওয়া এবং পরিবারের সহযোগিতা গর্ভবতীদের সুরক্ষার প্রধান কাঠামো।
FAQ
গর্ভাবস্থায় বাচ্চা নিচে নেমে গেলে করণীয় কি?
বাচ্চা নিচে নেমে গেলে প্রথমে শান্ত থাকুন। তারপর চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সাধারণত বিশ্রাম করতে বলা হয়। যদি ব্যথা হয়, ততক্ষণে চিকিৎসা নিন।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চা নিচে নামার লক্ষণ কি কি?
বাচ্চা নিচে নামার লক্ষণ হল পেটের নীচে চাপ অনুভব করা। শরীরের নীচে ব্যথা এবং অস্বস্তি হয়।
গর্ভাবস্থায় জরুরি লক্ষণ গুলো কি?
জরুরি লক্ষণ হল অতিরিক্ত রক্তপাত এবং তীব্র ব্যথা। প্রস্রাবের উপর চাপ বৃদ্ধি এবং বাচ্চার নড়াচড়া কমে যাওয়া।
গর্ভাবস্থায় চিকিৎসকের পরামর্শ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
চিকিৎসকের পরামর্শ গর্ভাবস্থায় খুব গুরুত্বপূর্ণ। তারা সঠিক নির্দেশনা দেয় এবং সাহায্য করে।
গর্ভাবস্থায় বিশ্রামের প্রয়োজনীয়তা কি?
গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত বিশ্রাম অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এটি শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা করে।
বাচ্চা নিচে নেমে গেলে ঝুঁকি কতটুকু?
বাচ্চা নিচে নেমে গেলে ঝুঁকি পরিবর্তিত হতে পারে। এটি গর্ভাবস্থার পর্যায় এবং স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে। তাই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
গর্ভাবস্থায় ব্যথা ও চাপ অনুভব করা মানে কি?
গর্ভাবস্থায় ব্যথা ও চাপ অনুভব করা স্বাভাবিক। কিন্তু যদি তীব্র হয়, তবে চিকিৎসা প্রয়োজন।
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার অবস্থান কিভাবে পরিবর্তন হয়?
গর্ভাবস্থায় বাচ্চার অবস্থান পরিবর্তন স্বাভাবিক। কিন্তু কিছু ক্ষেত্রে উদ্বেগজনক হতে পারে। তাই লক্ষণ ও সহায় টিপস জানা গুরুত্বপূর্ণ।
আরো পড়ুন
প্রসবের কিছুদিন আগের লক্ষণ: যা জানা দরকার জেনে নিন
লেবার পেইন কেমন হয়: লেবার পেইন কি? লেবার পেইন কখন হয় জানুন